Posted on Categories স্বাস্থ্যসেবা টিপস

চোখ ওঠা (কনজাংটিভাইটিস): প্রতিরোধ ও প্রতিকার

conjunctivitis

Dr. S.M.Sidratul Muntaha MBBS
General Prectioner, Doctor Dekhao

চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস বিশ্বব্যাপী খুব পরিচিত একটি সমস্যা।  শিশু থেকে শুরু করে পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি এবং বয়স্করাও এতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।

কনজাংটিভাইটিস এমন একটি অবস্থা যখন কনজাংটিভা (চোখের সামনের অংশ ঢেকে থাকা একটি পাতলা স্তর) স্ফীত হয় (প্রদাহের কারণে ফুলে ওঠে এবং কিছু লক্ষণ দেখা দেয়) যেমন :

  • চোখ লাল হওয়া ও পানি পড়া
  • আলো সহ্য করতে না পারা
  • চোখ খচখচ করা
  • চোখ জ্বালাপোড়া করার পাশাপাশি চোখে অস্বস্তি লাগা এবং
  • চোখে ময়লা জমা হওয়া

চোখে উপরোক্ত লক্ষণগুলো ছাড়াও শরীরে আরো কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে

যেমন: জ্বর,সর্দি,গলাব্যথা ইত্যাদি।(সাধারণত ভাইরাস জনিত বা ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস হলে এ লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়)।

ঠান্ডা বা ফ্লু আক্রান্ত কারো দ্বারা সহজেই এটি ছড়িয়ে যেতে পারে।

 এ ধরনের সংক্রমণ সারা বছর জুড়ে যে কোন ঋতুতে হতে পারে। এছাড়াও বছরের বিশেষ কিছু সময়ে এটি মারাত্মক আকারে সংক্রমণ করতে পারে।

সিজনাল বা মৌসুমী কনজাংটিভাইটিস সিজনাল অ্যালার্জির সাথে যুক্ত, যা সাধারণত বসন্ত এবং গ্রীষ্মের মাসগুলিতে এবং কখনও কখনও শরতের সময় ঘটে। পরাগরেণু, ঘাস এবং অন্যান্য বায়ুবাহিত অ্যালার্জেনের সংস্পর্শ সিজনাল অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস সৃষ্টি করে। এছাড়া ঠান্ডা আবহাওয়ার মাসেও (শীতকালে) এ সংক্রমণ বেশি হয়।

আপনার এ জাতীয় কোন সমস্যা হলে বা আশেপাশে কেউ সংক্রমিত হলে…

আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগটি ভাইরাল অরিজিন, ছোঁয়াচে, সেলফ লিমিটিং(সাধারণত ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়)।

কনজাংটিভাইটিস প্রায়শই ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা দূষিত হাত বা বস্তু দ্বারা চোখের সাথে সরাসরি সংযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও এটি শ্বাসতন্ত্রের ড্রপলেট অর্থাৎ নাক বা মুখ থেকে বের হওয়া সর্দি, লালা,কাশি বা কফ এর মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।

একটু সচেতন হলে এবং কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে এ রোগ থেকে আপনি নিরাপদ থাকতে পারেন।পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা এবং এ জাতীয় রোগীদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখলে আপনি এ রোগমুক্ত থাকতে পারবেন।

তবে আক্রান্ত হয়ে গেলে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলুন

  • চোখ পরিস্কার রাখুন।(চোখে ময়লা জমলে নরম সুতি কাপড় কুসুম গরম পানিতে চুবিয়ে আস্তে আস্তে চোখ পরিষ্কার করে নিন)
  • চোখে গরম সেঁক দিন
  • উজ্জ্বল আলোয় তাকাবেন না
  • আলোতে যেতে হলে বা সরাসরি রোদে গেলে কালো চশমা বা সানগ্লাস ব্যবহার করুন
  • অযথা চোখে হাত দেবেন না।চোখে একান্ত হাত দিতে হলে হাত পরিষ্কার করে নিন এবং চোখে হাত দেওয়ার পর সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন

চিকিৎসা:

রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ খাওয়া যেতে পারে। চোখের ড্রপ ২-৩ ঘন্টা পরপর এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রাতে মলম ব্যবহার করা যেতে পারে। বেশি অসুবিধায় চক্ষু চিকিৎসক এর উপদেশ মোতাবেক ঔষধ ব্যাবহার করুন।

নিরাপদ এবং সুস্থ থাকুন।


যেকোনো অসুস্থতায় ঘরে বসে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে Doctor Dekhao অ্যাপটি ডাউনলোড করুণ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।