Dr. Akash Deep Adhikari MBBS
General Practitioner- Doctor Dekhao
স্তন ক্যান্সার কি?
এটি হল স্তনে হওয়া ক্যান্সার। স্তন কোষের অস্বাভাবিক বিভাজনের ফলে স্তন টিউমার এবং পরবর্তীতে ক্যান্সার হতে পারে যা শরীরের অন্যান্য জায়গায়ও ছড়িয়ে পরতে পারে। নারীদের পাশাপাশি পুরুষদেরও এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
স্তন ক্যান্সারের লক্ষণঃ
- স্তনের মধ্যে লাম্প/চাকা অনুভব করা
- স্তনের আকৃতিতে পরিবর্তন
- স্তনের বোঁটায় ঘা
- স্তনবৃন্তের আশেপাশে র্যাশ বা ফুসকুড়ি দেখা যাওয়া
- স্তনবৃন্ত থেকে তরল আসা
- বোঁটার চারপাশে কালো অংশে চুলকানি
- ত্বকের লাল স্ক্যালি প্যাচ
ঝুঁকির কারণঃ
স্তন্য ক্যান্সারে নারীদের মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। সাধারণত ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে এই ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। ঝুঁকির প্রধান কারণ গুলো হল-
- স্থূলতা,
- ব্যায়ামের অভাব
- ধূমপান, মদ্যপান
- মেনোপেজের সময় হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপি, কাইনফেল্টার সিনড্রোম
- বাচ্চা না থাকা বা বেশি বয়সে বাচ্চা হওয়া
- পারিবারিক ইতিহাস
পরীক্ষাঃ
৫০ থেকে ৭০ বছর বয়সী নারীদের প্রতি তিনবছর পর পর ব্রেস্ট স্ক্রিনিং বা ম্যামোগ্রাম করানো উচিত। ম্যামোগ্রাম হচ্ছে এক্স-রে’র মাধ্যমে নারীদের স্তনের অবস্থা পরীক্ষা করা।
সাধারণত প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার এতো ছোট থাকে যে বাইরে থেকে সেটা বোঝা সম্ভব হয় না। কিন্তু ম্যামোগ্রামের মাধ্যমে খুব ছোট থাকা অবস্থাতেই বা প্রাথমিক পর্যায়েই ক্যান্সার নির্ণয় করা যায়।
প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পরলে ক্যান্সার থেকে সুস্থ্য হয়ে ওঠার সম্ভাবনা প্রচুর থাকে। আর এই পরীক্ষার জন্য মাত্র কয়েক মিনিট সময় লাগে।
চিকিৎসাঃ
স্তন ক্যান্সারের বর্তমানে অনেক আধুনিক চিকিৎসা রয়েছে যেমন-
কেমোথেরাপি, হরমোনাল থেরাপি, টার্গেটেড থেরাপি। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে এবং উপযুক্ত চিকিৎসায় মৃত্যুঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।